ইসরাইল এখন অনেক দুর্বল ও অনিরাপদ। ইসরাইলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন বহু ইসরাইলি নাগরিক উদ্বিগ্ন ও সন্দিহান। ভেতর থেকেই ইসরাইলের ধ্বসে-পড়া এবং ধ্বংস ও বিলীন হওয়ার কথা ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষকদের কণ্ঠেও ধ্বনিত হচ্ছে। এসবই প্রমাণ করে- ইসরাইলের যুদ্ধে জেতার দিন পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। ইসরাইল যুদ্ধ বাধালে সে যুদ্ধ তার ইচ্ছায় শেষ হবে না। আর যুদ্ধ যদি প্রলম্বিত ও দীর্ঘায়ত হয় তাহলে ইসরাইল ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে এবং তা ইসরাইলের অস্তিত্বকেই করবে হুমকিগ্রস্ত।
২০১৩ সালের ১২ মার্চ Holiday পত্রিকায় মার্কিন লেখক Kevin Barrett প্রণীত ‘Kissinger, US intelligence endorse a world without Israel’ – এ প্রবন্ধে বলা হয়েছে: কতিপয় সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ, প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার এবং আরো ষোলটি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা একমত প্রকাশ করেছেন যে অতি নিকট ভবিষ্যতে ইসরাইল আর টিকে থাকবে না।
‘নিউইয়র্ক পোস্ট’ কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে- দশ বছরের মধ্যে ইসরাইল আর থাকবে না। অর্থাৎ কিসিঞ্জারের মতে ২০২২ সালে ইসরাইল আর বিদ্যমান থাকবে না। কিসিঞ্জারের মতো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদিও নির্দিষ্ট করে সময়-সীমার কথা উল্লেখ করেনি কিন্তু তারা ( ১৬টি গোয়েন্দা সংস্থা ) ৮২ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে এ শিরোনামে: একটি ইসরাইলোত্তর মধ্যপ্রাচ্যের জন্য প্রস্তুতি ( Preparing for a Post-Israel Middle East )
১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা একমত যে, ইসরাইল আরব বসন্ত, ইসলামী জাগরণ এবং ইরানের উত্থানের সমম্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিনপন্থী ভবিষ্যৎ শক্তিকে মোকাবেলা ও প্রতিহত করতে পারবে না।
ইরানের মহান নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী ২০১৬ সালে বলেছিলেন: আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। ইসরাইল যদি (ইরানকে আক্রমণ করার মতো ) কোনো ভুল বা অন্যায় করে বসে তাহলে আমরা তেল আবিব এবং হাইফা নগরীকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেব।
২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বরে ইসরাইলী সংবাদপত্র ইয়েদিঔত আহারোনৌত ynet news.com/ opinion : Gabi Sheffer-প্রণীত ‘We won’t win in Gaza’ তথা ‘আমরা গাজায় কখনো জিততে পারব না’ শীর্ষক প্রবন্ধে বলা হয়েছে: আইডিএফ তথা ইসরাইলী প্রতিরক্ষা বাহিনী গত ৩০ বছরে একটি যুদ্ধেও জেতেনি। বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে গাজা পুনর্দখল করা হলে তা যুদ্ধ জেতার মতো এক অলীক ধারণার দিকে পরিচালিত করবে।